[email protected] বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১

ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৫

সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের কারাগার থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে আজ। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। গাজা থেকে চার ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেওয়ার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, গাজা থেকে চার ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এসব বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। তালিকায় দীর্ঘদিন কারাভোগকারী এবং দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরাও রয়েছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, তালিকাভুক্তদের মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৭৯ জন দীর্ঘ মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক বন্দির বয়স ৬৯ বছর এবং সবচেয়ে ছোট বন্দির বয়স ১৫ বছর।

আল জাজিরা আরও জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত চার নারী সেনা সুস্থ রয়েছে। মুক্তির সময় তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ব্যাগ ছিল। তাদেরকে হাসিমুখে জনতার দিকে হাত নাড়তে দেখা যায় এবং তারা বিজয়সূচক চিহ্নও দেখিয়ে ছবিও তোলেন। চার নারীর সেনাকে হাতে পাওয়ার পর শনিবার বিকালের দিকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয় ইসরাইল।

এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ওই সময়ে রয়টার্স জানায়, মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বন্দি সম্প্রতি আটক হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় শেষ হবে।

এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এ ছাড়া, মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলের সীমান্তে হামলা চালালে ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধ চলতে থাকে। ইসরায়েলের হামলায় ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়, এবং ১ লাখেরও বেশি মানুষ আহত হন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস ও ইসরায়েল সম্মত হয়।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর