 
                                                                        শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন আজ শুরু হবে দেবী দুর্গার মহানবমী বিহিত পূজা। এদিন দেবী দুর্গার বিদায়ের সুরে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে প্রতিটি মণ্ডপের পরিবেশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধারণা, মহানবমীর দিনে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার সময়। দুর্গাপূজার অন্তিম দিন বলা যায় মহানবমীর দিনটিকে। পরদিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব চলে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী। এদিন সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার ‘মহা আরতি’ করা হয়। মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোমের রীতি রয়েছে।
সন্ধিপূজা শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী। ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবী দুর্গার। পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মধ্যে বইবে বিষাদের সুর। এদিন সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়ে থাকে মণ্ডপে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তার তিন যোদ্ধা চন্ড, মুন্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন। নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। সন্ধিপূজা হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর সূচনার প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে। আর ঠিক এই কারণে পূজার মন্ত্রেও সেই বিশেষত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া শারদীয় এ দুর্গোৎসবের রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: