অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে ‘আশাহত’ হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনেকে আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটা রূপ রেখে দেবেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রুত নির্বাচন হওয়াটা জাতির জন্য মঙ্গল, এই ধরনের সরকার দীর্ঘদিন থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হয় পূর্বের অভিজ্ঞতা সেটিই বলে।
সংস্কার ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে এখনো থাকা স্বৈরাচারের দোসররা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমস্যা সমাধান করতে দেবে না। নির্বাচন দিলেই অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। বেশিদিন অন্তবর্তী সরকার থাকলে তারা ক্ষমতায় থেকে যেতে চায় বলে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই ছাত্রদের কৃতিত্ব মানতে চায় না। অনেক রাজনৈতিক দল দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম করলেও খেলার শেষ গোলটি তারাই করেছে বুকের রক্ত দিয়ে। বয়সের কারণে তারা অনেক কথা বলবে। কিন্তু ছাত্রদের সঙ্গে কখনো দূরত্ব তৈরি করা যাবে না। এসময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর বীরত্বপূর্ণ নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব।
এমএএন
মন্তব্য করুন: