বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়াল বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন-এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আর রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও ভোটারহীন নির্বাচন আমরা দেখেছি। উন্নয়নের নামে লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কোনো রকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আদর্শ থাকতে কিভাবে দেশের মানুষের ভালো করা যায়। ৭৫ সালে দেশ ভেঙে পড়ার পর মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিল। তখন দেখেছি, জিয়াউর রহমান কিভাবে দায়িত্ব নিয়ে দেশ গড়েছিলেন। স্বৈরাচার পতনের পর দেশ যখন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছিল তখন কিভাবে খালেদা জিয়া গড়েছেন। গণতন্ত্রের পক্ষে প্রতিটি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হবে বলে তারেক রহমান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামিম প্রমুখ।
এমএএন
মন্তব্য করুন: