বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই। নির্বাচনি সংস্কার করে বাংলাদেশের মালিকানা দেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশকে নানা কায়দায় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। যে ঐক্যে ফ্যাসিস্টদের বিতারিত করা হয়েছে সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ধর্মের নামে যেসকল ঘটনা ঘটছে, সেগুলো আসল কি না দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। ঐক্যবদ্ধ জাতি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটাই চিন্তা আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কখনও আনসার বিদ্রোহ, কখনও সংখ্যালঘু, কখনও অটোরিকশার মাধ্যমে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আজকে কিন্তু আমাদের ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। আমরা সম্মিলিতভাবে একসাথে কাজ করার প্রত্যয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমরা সেটা করতে চাই। এজন্য আমাদেরকে এই প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন ঘটনাবলি, যেটা গত ১৫-১৬ বছর ছিল না। এখন দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী রাস্তায় নামছে, কারা এসব করছে আমাদের বুঝতে হবে। এই শক্তির উৎস কোথায় তা জানতে হবে। ইদানিং যে ঘটনাগুলো ঘটছে ধর্মের নামে, সেগুলো বোঝার জন্য আরেকটু গভীরভাবে দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনী সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সংস্কার শেষে অতিদ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সিপিবির সাবেক সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণফোরাম নেতা মোস্তফা হোসেন মন্টু বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন: