ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন ক্যাডার থেকে এমন পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে একযোগে ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু করেছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১০ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত, একজনকে ওএসডি করা হয়েছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা একই ধরনের কার্যকলাপের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে, প্রশাসন ক্যাডারের এ ধরনের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে প্রশাসন ক্যাডার বাদে বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি পালন করছে। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে সকাল ১০টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়।
তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে সীমাহীন বৈষম্য রয়েছে। রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন ও পেশাদারত্ব নিশ্চিতে সিভিল সার্ভিস সংস্কারের মাধ্যমে এ বৈষম্যগুলো নিরসন করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়, বরং শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রশাসন ক্যাডার অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক ও পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করছে। তাই সরকার ও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশের জন্য ঢালাওভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকরিবিধির পরিপন্থি। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এভাবে বরখাস্ত করায় পরিষদ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে এতে জানানো হয়েছে।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার), উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও সব ক্যাডারের সমতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছে। এ দাবির স্বপক্ষেও তারা গত ১৫ অক্টোবর একযোগে ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি পালন করেন।
এমএএন
মন্তব্য করুন: