[email protected] বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১

শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৬

ফাইল ছবি

বিবাদমান দুই গ্রপের উত্তেজনার মধ্যেই টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে আসতে শুরু করেছে মুসল্লিরা।

প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি যা আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর শুরু হবে ইজতেমার তৃতীয় পর্ব যা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সেখানে অংশগ্রহণ করবেন সাদপন্থীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, এবার ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের চেয়ে অনেক সুদৃঢ় করা হয়েছে। পুলিশ সকলের সহযোগিতায় যেকোনো ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় সক্ষম।

বাংলাদেশে গত কয়েকবছর ধরে তাবলীগ জামাতের দু’টি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সাদ’পন্থীদের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে।

মূলত মোহাম্মদ সাদ কান্দালভীর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক তাবলীগ জামাতের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশে দুই গ্রুপ আলাদা হয়ে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করেছেন এবং তাতে অংশ নিচ্ছেন।

এই তাবলীগ জামাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে, যখন ঢাকায় তাদের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।

পরের বছর কাকরাইল মসজিদের দখল নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিলো দু’পক্ষের মধ্যে। এ বছরও দুই গ্রুপের মাঝে ব্যাপক সংঘাত হয়েছে, যাতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

ইজতেমা ঘিরে সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে এ বছর বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিশন পুলিশ। সাথে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান, চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধ টিম এবং নৌ টহল থাকবে।

রেলওয়ে স্টেশনেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, ইজতেমা ময়দান সিসিটিভির আওতায় থাকবে, সাথে থাকবে ড্রোন এবং ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি। এছাড়া ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথসমূহে আর্চওয়ে স্থাপন এবং হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর