[email protected] বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১

মেডিকেলে ভর্তি: কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফল স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৩

ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারও জন্য প্রযোজ্য হবে না। এ কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থীকে পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন ইতোমধ্যে মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পুরাতন ভবনের দোতলায় অবস্থিত মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূরণ করা হবে।

এর আগে রোববার ( ১৯ জানুয়ারি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে কোটায় নির্বাচিত হয়েছে ১৯৩ জন।

কম নম্বর পেয়েও মেডিকেল ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার তথ্য প্রকাশ হলে দেশব্যাপী তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন। এছাড়াও, আজ সোমবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, কোটার মাধ্যমে আবারও মুজিববাদ ও শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনও কোটা রয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, যে কোটার জন্য এতো প্রাণ দেওয়া হলো, সেই কোটা আবার ফিরে এসেছে।

এর জবাব বর্তমান সরকারকে দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন শিক্ষার্থীরা। এই ফল বাতিল করে শুধু মেধার ভিত্তিতে নতুন ফল প্রকাশের দাবি তাদের।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর