থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবন স্বাভাবিক রক্ষার স্বার্থে ১১ দফা নির্দেশনা সম্বলিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফানুস ওড়ানো ও পটকা-আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ।
তবে মঙ্গলবার রাত ১১টা বাজার আগেই শুরু হয় নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর নানা আয়োজন। রাজধানীর অলিগলি, মহল্লার সড়ক আর বাসার ছাদে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠেন নানা বয়সী মানুষ।
আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। এর সঙ্গে রয়েছে পটকার শব্দ, ফানুস। অথচ নিষেধাজ্ঞা ছিল এসব আয়োজনে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বরাবরের মতো এবারও খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে উদযাপনে ছিল সবকিছুই। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে (সময় অনুযায়ী ১ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে) রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে। যদিও থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবন স্বাভাবিক রক্ষার স্বার্থে ১১ দফা নির্দেশনা সম্বলিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রাজধানীর নিমতলীর এক বাসিন্দা বলেন, রাত ১০টা বাজার পরই এলাকায় আতশবাজি ফোটানো শুরু হয়। তবে রাত সাড়ে ১১টার পর এর তীব্রতা বাড়তে থাকে, ১টা পর্যন্ত চলে পটকা আর আতশবাজির শব্দ। উদ্যাপন ঘিরে উচ্ছ্বাস থাকলেও বিকট শব্দে অস্বস্তিতে পড়েন বয়স্ক ও ছোট শিশুরা।
তাঁতীবাজারের বাসিন্দা তিলক গোস্বামী বলেন, বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় বাজিপটকার রমরমা ব্যবসা করেন এই এলাকার ব্যবসায়ীরা ৷ পুলিশ, র্যাব সবই জানে ৷ ওদের চোখের সামনেই বাজিপটকা পোড়ানো হয়েছে ৷ কে শুনবে কার কথা!
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা দেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এমন কাজ কেউ করলে তাদের জেল ও জরিমানার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: