স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, শেখ হাসিনা কুমিল্লা নামে বিভাগ হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্ত কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করা হবে। আমরা তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবো। এ বিষয়ে কাজ চলছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর ডিআর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, পতিত স্বৈরাচারের সময় কুমিল্লাকে বিভিন্ন সময়ে বঞ্চিত করা হতো। এই অঞ্চলের মানুষের দাবি কুমিল্লাকে প্রশাসনিক বিভাগ করার বিষয়ে আলোচনা করব এবং দ্রুত তা বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা নেবো। আমিও বলব যদি এখানে বিভাগ হয় তাহলে কুমিল্লা নামেই হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের অনেকেই বলতেন ভারতের আশির্বাদ ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারত পালালেন, তখন ভারত কোথায় ছিল?
তিনি আরও বলেন, যদি শেখ হাসিনার মতো পরিণতি না চান, তাহলে বহিরাগত শক্তির আশীর্বাদ নয়, জনগণের ম্যান্ডেটই হবে ক্ষমতায় আসার একমাত্র অবলম্বন। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে অনেক ধরনের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক রক্তপাতের পর আজ দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছি। এই স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। অনেকেই শহিদ হয়ে আমাদের ঋণী করে গেছেন। তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে। যে নতুন বাংলাদেশের কথা আমরা বলি সেই নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার কিছু দায়িত্ব আছে। সবাইকে যার যার দায়িত্ব তাকে পালন করতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
এসময় আসিফ বলেন, মুরাদনগরে ইতোমধ্যেই ২০টির অধিক উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় উন্নয়ন হতো। এখন থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে সমানভাবে উন্নয়ন হবে। উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রাখা হবে না।
অনুষ্ঠানের শেষে কুমিল্লা ও অন্যান্য জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া মোট ৩৫ জন শহিদের পরিবারকে অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে উপজেলার কবি নজরুল মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা আসিফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার সচিব মো. নজরুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার, মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এমএএন
মন্তব্য করুন: