[email protected] বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১

ছাগলকাণ্ডের মতিউর ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৪

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আদালতে আনা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক রুবেল মিয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার ভোরে মতিউর রহমানকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আজ আসামি মতিউর রহমানের বাসায় গিয়ে ১টি অস্ত্রের সন্ধান পায় পুলিশ। অস্ত্রের বিপরীতে ২৫ রাউন্ড সীসা-কার্তুজ উল্লেখ থাকলেও ১ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায় নাই। তার অস্ত্রের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২১ সালে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং অনুদ্ধারকৃত ১ রাউন্ড গুলি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নাই। আসামি অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, খোয়া যাওয়া এক রাউন্ড গুলি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে তা জানার জন্য, আসামির কাছে আর কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রহিয়াছে কিনা, আসামি ওই ১ রাউন্ড গুলি অন্য কারও কাছে সরবরাহ করেছে কিনা জানার জন্য গ্রেফতার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসামিকে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়, তার বাবা মতিউর রহমান। এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্ত-বৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।

পরে গত ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর