শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পা‌লিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি করতে ভারতের কাছে তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। আর এ উদ্যোগ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইতোমধ্যে ভারত সরকারকে নোট ভারবাল দিয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে, আজ সকালে রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।

ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে “গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের” অনেক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে ‘প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলা’য় অভিযুক্ত বা ফেরারি আসামি ও বন্দিদের একে অপরের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।