পূর্বঘোষিত আল্টিমেটামে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সাত কলেজের সামনে দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাত কলেজ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠকের পর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবির প্রথমদিকের একটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে, সেজন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম। বাকি ৫ দাবির জন্য সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করবে। আমরা আমাদের আল্টিমেটাম প্রত্যাহার করছি। কারণ, আমাদের ছয় দফা দাবির বেশিরভাগই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা শুনেছেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো বিবেচনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে, তাই আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে বিকাল ৩টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে ঢাকা প্রশাসন ও কলেজের সকল ছাত্রসংগঠনের মতবিনিময় সভা শেষে ঢাকা কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে মামুন শেখ বলেন, নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের মতো এরকম সিদ্ধান্ত থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। ঢাবি প্রো-ভিসি মামুন স্যার শিক্ষকসুলভ আচরণ করেননি। তিনি আগে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে এমন সংঘাতের ঘটতো না । এমন কোন আচরণ করবো না যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, সংঘর্ষের পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফা দাবি জানায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওইদিনই জরুরি বৈঠকে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। পরে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।
এমএএন
মন্তব্য করুন: