শুধু খুন-গুম আর দখলই নয়, ১৫ বছর ধরে প্রবল প্রতাপে রাউজানে ‘আয়নাঘর’ চালাতেন সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী ও তার ক্যাডার বাহিনী। সেখানে শত শত মানুষকে চালিয়েছেন নির্যাতন। যার শিকার অনেক নারীও। এখন সেই নিষ্ঠুরতার বিচার চান ভুক্তভোগীরা।
ওপরে একতলা ভবন। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই নিচে রয়েছে ভয়ংকর এক নরক। এটিই ছিল চট্টগ্রামের রাউজানে সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর ‘আয়নাঘর’। যেটি বানিয়েছিলেন উপজেলা সদরে নিজের বাগানবাড়িতে।
পৌর এলাকার আজিম উদ্দিন আয়নাঘরের নির্যাতনের শিকার। তিনি গণমাধ্যমে জানান, বাগানবাড়ির একপাশে অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি জায়গায় খাল ঘেঁষে সুড়ঙ্গের মতো দরজা করে মাটির নিচে তৈরি করা হয় এই ‘আয়নাঘর’। বাহির থেকে চেনার কোন উপায় ছিলনা। এখানে শতাধিক নারী ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে ‘আয়নাঘরের’ আশপাশের মানুষ নির্যাতিতের আর্তচিৎকার শুনলেও মুখ ফুটে বলার সাহস পায়নি এতদিন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাকে ধরে এনে এখানে নির্যাতন করা হয়। তারপর পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় অস্ত্রসহ।
শুধু আজিমই নয়, ফজলে করিমের তত্ত্বাবধানে তার ক্যাডারবাহিনী জানালাবিহীন এই ‘আয়নাঘরে’ নিয়ে নির্যাতন চালাতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষসহ নানা মানুষজনকে। আছে এখানে অস্ত্রের মুখে জমি লিখে নেয়ার নেয়ার ঘটনাও। অভিযোগ রয়েছে, ‘আয়নাঘরের’ খবর জানতো তৎকালীন থানা পুলিশও।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যাত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন আলোচিত সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী। পালিয়েছে ‘আয়নাঘরের’ রক্ষীরাও।
এমএএন
মন্তব্য করুন: