[email protected] বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১

নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:২৬
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:০২

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সেলিম ভূঁইয়া।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন স্থানীয় নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত মো. সেলিম ভূঁইয়া হেসাখাল ইউপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি একই ইউনিয়নের দায়েমছাতি খিলপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় উপজেলার বাংগড্ডা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উপজেলার বাংগড্ডায় নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভুঁইয়া সমর্থিতরা একটি গাড়ি বহর নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজার অতিক্রম করা কালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সেলিম ভূইয়া নিহত হয়।

নিহতের ভাই আব্দুর রহিম বলেন, আমার ভাই সেলিম দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং আবদুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী ছিলেন। গফুর ভূঁইয়ার সভায় যাওয়ার পথে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। বিএনপি হয়ে বিএনপির নেতাকে হত্যা করল, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমি এর জবাব চাই।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া টাইমস মেইলকে বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করি। দাওয়াত শেষে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলায় পূর্ব নির্ধারিত মতবিনিময় সভায় আসার পথে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা আমার গাড়ি বহরের পিছনে হামলা চালায়। হামলায় ৫ জন আহত হয় এবং হামলায় হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া নিহত হয়েছে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূইয়া বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মারামারিতে ওই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যিনি মারা গেছেন তিনি গফুর ভূঁইয়া পক্ষের। মারামারি হয়েছে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। তবে ঘটনাস্থলে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া ছিলেন-এমন কোনো তথ্য পুলিশ পায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি।

এমএএন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর